বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, কূটনীতিকদের সুরক্ষা ইস্যুতে ভিয়েনা কনভেনশন মনে রাখার পাশাপাশি মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ মে) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা বলেছেন।
ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়ে একজন সাংবাদিক ‘বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্য প্রায় ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতকে কোনো অতিরিক্ত নিরাপত্তা না দেওয়ার ঘোষণাটি নজরে আনেন। ওই সাংবাদিক বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতের কনভয় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবং ২০১৮ সালে কয়েকবার সরকার-সমর্থকদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। আপনি কী বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন?’
এ প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল ‘কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে যে কোনো দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ এবং এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলতে হবে’ উল্লেখ করে বলেন, ‘কর্মীদের ওপর কোনো আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর সব পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থাপনার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সবাইকে এখন থেকে একই ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ যেসব দেশের রাষ্ট্রদূতরা পুলিশের বাড়তি এসকর্ট (নিরাপত্তা) সুবিধা পেতেন, সেটি আর পাবেন না। তবে তারা চাইলে আবেদনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সুবিধা নিতে পারবেন। এজন্য তাদের অর্থ খরচ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো আবশ্যকতা নেই।
এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গাড়িতে পতাকা উড়ানো বন্ধের বিষয়েও ভাবছে সরকার।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত চলাচলের সময় পুলিশের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।