সিল্কি চুল পেতে প্রত্যেক নারীই অনেক কিছু করে থাকেন। এর পিছনে অনেক অর্থব্যয় করেন। তাও ফল পাচ্ছেন না। তাহলে আজই চুলের যত্নের পণ্যগুলো বদলে ফেলুন। ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এগুলো চুলকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেবে। চুলে পুষ্টি জোগাবে।
মধু
মধু চুলের জন্য একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। চুলে অলিভ অয়েল লাগানোর সময় মধু মিশিয়ে নিন। দুই টেবিল চামচ মধু এবং দ্বিগুণ পরিমাণ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এবার নিজেই পার্থক্য দেখে নিন।
ডিম
ডিপ কন্ডিশনিং এবং উজ্জ্বলতার ক্ষেত্রে ডিম একটি আশ্চর্যজনক হেয়ার কেয়ার উপাদান। একটি ডিম ও যেকোনো তেল একসাথে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝরঝরে।
কলা
কলা পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকা সমৃদ্ধ। এটি চুল পড়ার সমস্যাও সমাধান করে। সিলিকা থাকায় চুল কন্ডিশনিং করে। এতে চুল হয়ে ওঠে নরম ও বাউন্সি। একটি পাকা কলা ম্যাশ করে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক চামচ মধু যোগ করুন। এবার ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল
নারকেল তেলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি চুলকে স্বাস্থ্যকর এবং আর্দ্র রাখার একটি প্রাচীন পদ্ধতি। ৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করে নিন। তেলটি মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৪৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারে আপনার চুল হবে প্রাণবন্ত।
দই
দই মাথার ত্বকের জ্বালা এবং শুষ্কতা রোধ করতে পারে। চুলকে নরম করতেও সহায়তা করে। দইয়ে থাকা পুষ্টি উপাদান চুলকে মসৃণ ও চকচকে করে তুলতে সাহায্য করে। দইয়ের সাথে অ্যালোভেরার জেল এবং মধু যোগ করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখেন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।