গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রধান সমন্বয়কারী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আমাদের নেতাকর্মীরা যখন প্রচার-প্রচারণায় যাচ্ছে, তখন বিভিন্ন কৌশলে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আজমতউল্লা তার নিজস্ব ও দলীয় কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণাকালে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে নগরীর তার ছয়দানাস্থ বাসভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মো. জাহাঙ্গীর আলম একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত চার দিন ধরে টঙ্গীতে আজমতউল্লা তার নিজস্ব লোক দিয়ে আমাদের ওপর হামলা ও নির্বাচনের প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। তারা আমাকে ও আমার মাকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিকদের জায়েদা খাতুন বলেন, আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা করা হচ্ছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য ভোটরদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন প্রশাসনের কিছু লোক আছে যারা এলাকা ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন তারা আমার কর্মীদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে এবং মোবাইলে তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেকের কাছে টাকাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারা বলছে জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোটটা না করতে পারে। তারা আজমতউল্লা খানকে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নগরীর কোন স্থানে পোস্টার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার লাগালেও সেগুলো ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলেন, আপনারা যদি সুষ্ঠু ভোট করতে না পারেন তবে সব প্রার্থীদের ডেকে বলেন আমরা প্রার্থীতা ছেড়ে দেই। আপনারা ভোটকে অসম্মান করবেন না। জনগণ যাকে ভোট দেবে রায়টা যেন তার পক্ষেই যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুনের পক্ষে তার কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।