প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে, তাকে কারা মাদক সরবরাহ করতেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, বগুড়ার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কয়েকজন ব্যক্তির যোগসাজশে মাদকের লাইসেন্স নেন নোবেল, যা দিয়েই তিনি মাদক কিনে নিয়মিত গ্রহণ করতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল সব অভিযোগ স্বীকারসহ নানান তথ্য দিয়েছেন বলে জানান ডিবি সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল টাকা নিয়ে প্রোগ্রামে না যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া নিয়মিত মাদক গ্রহণ ও স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি সামনে এলে সেসবও স্বীকার করেছেন নোবেল। তবে সে আবার সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চান বলে ডিবি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিবি ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, নোবেল মাদক সেবন ও স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার বিষয়গুলো আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলোর তিনি কোনোটাই অস্বীকার করেনি।
জানা গেছে, অগ্রিম ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত শনিবার (২০ মে) নোবেলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেসহ সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।