তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছে, আগামী ২৮ মে রানঅফ ভোটে এ দেশের মানুষ পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।
সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটিআর হাবেরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। খবর আনাদলুর।
এরদোগান বলেন, নির্বাচরে আমাকে পরাজিত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে পশ্চিমা মিডিয়া। তারা নির্লজ্জভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করেছে।
কিন্তু তুরস্কের মানুষ গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমাকেই জয়ী করেছে। আশাকরি ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ রানঅফ ভোটেও পশ্চিমাদের গালে চপেটাঘাত করে আমাকেই জয়ী করবে।
এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের গণতান্ত্রীক মূল্যবোধ অর্জন করেছি। তুরস্কের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ও সামরিক শক্তির উত্থানে ভীত হয়ে পশ্চিমারা আমাদের পিছনে লেগেছে।
তাছাড়া, তুরস্কের কারণেই কাতার, আজাবাইজান ও লিবিয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি। আমরা এখন শত্রু আর মিত্র খুব পরিষ্কারভাবে চিনতে পারছি।
এদিকে, সোমবার তুরস্কে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রথম দফায় তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী সিনান ওগান।
এই সমর্থনের ফলে আগামী ২৮ মে নির্বাচনে এরদোগানের পক্ষে জয় আরও সহজ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগানকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন সিনান।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে এরদোগানকে সমর্থন করার জন্য নিজের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমরা সব ধরনের পরামর্শ করেছি। আমাদের দেশ ও জাতির জন্য এমনটা ভালো হবে বলেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এরদোগান না কেমাল কিলিচদারুগ্লু, কে আগামী পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হবেন, তা ওই ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে।
প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোগান পান ৪৯.৫২ শতাংশ, কেমাল কিলিচদারুগ্লু ৪৪.৮৮ শতাংশ এবং সিনান ওগান পান ৫.১৭ শতাংশ ভোট।