ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)র জন্য দেশীয় এক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৩ টাকা লিটার দরে ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪০ টাকা লিটার দরে ১ কোটি ১০ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে দেশীয় এক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় তেল ও চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকরপোরেশন (স্থানীয় এজেন্ট ওএমজি লিমিটেড) থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১২৯ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৪০ টাকা।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০৫ টাকা। ব্র্যান্ড শেয়ার ট্রেডিং লিমিটেড মাইডস থেকে এই চিনি কেনা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম ১৮২ টাকা ৬৫ পয়সা। সিটি এডিবল অয়েল কোম্পানি থেকে এই সয়াবিন তেল কেনা হবে।
এর আগে ১৭ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকরপোরেশন থেকে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা।