দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে ইমরান খানের নেতাকর্মীদের মধ্যে। একের পর এক মামলা, তদন্ত এবং হুমকির কারণে অনেকে ইমরান খানের দল থেকে পদত্যাগ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে চাপে পড়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদেরকে শিগগিরই তার সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর দ্য ডনের
শুক্রবার ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমি আলোচনায় বসতে অনুরোধ করছি, কেননা যা হচ্ছে তা কোনো সমাধান নয়। পাকিস্তান অরাজক পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর।“
গত বছর ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ইমরান। যে অনাস্থা ভোটে তিনি পরাজিত হন, তার পেছনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেলদের ষড়যন্ত্র ছিল বলে তখন থেকেই তেহরিক-ই ইনসাফের চেয়ারম্যান অভিযোগ করে আসছিলেন। যদিও সামরিক বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে তাকে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সহিংসতা বাধলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর দলটির কর্মী-সমর্থকরা পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলে পড়েছিল; এর পরপরই ইমরানের বেশিরভাগ সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাদের অনেকে পরে ছাড়াও পেয়ে যান এবং কিছু সময় পর পিটিআই থেকে পদত্যাগেরও ঘোষণা দেন। মধ্যস্তরের অনেক নেতাও এরই মধ্যে দল ছেড়েছেন।
ইমরান বলছেন, তাকে দুর্বল করতে, তার দলকে ভেঙে দিতে যে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে, তার ফলে বাধ্য হয়েই অনেকে দল ছাড়ছেন। সামরিক স্থাপনায় হামলার সঙ্গে নিজের দলের দূরত্বও বজায় রাখছেন তিনি। হামলায় কারা জড়িত, তা বের করতে তদন্তের আহ্বানও বারবার করেছেন তিনি।
দলছাড়া নেতাকর্মীদের অনেকেই বলছেন, তারা স্বেচ্ছায় পার্টি ছাড়ছেন। কেউ কেউ বলছেন স্বাস্থ্যগত বা পারিবারিক উদ্বেগের কথাও।
তবে এসব কিছুই ইমরানকে দমাতে পারছে না। দৃঢ়কণ্ঠে তিনি বলেছেন, সরকারি দমনপীড়ন তার দলের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েই চলছে। নির্বাচন যখনই হোক, তখনই জিতবেন বলেও আশাবাদী তিনি।