আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর আগে সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে এবারের এশিয়া কাপের আসর মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। তবে কয়েক দফা আলোচনার পরেও রোহিত শর্মাদের পাকিস্তানে খেলতে দিতে চায় না ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। যা নিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে ২০০৮ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তান সফরে গেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ এলারডাইস। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাথে আলোচনার মাধ্যমে ভারতে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
দেশটির ক্রিকেট বিষয়ক চ্যানেল ‘এ স্পোর্টস’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ মে) পিসিবি কার্যালয়ে বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন আইসিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ওই বৈঠকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেখানে বিশ্বকাপে নিজেদের অংশগ্রহণের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে পিসিবি।
পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি জানিয়েছেন, ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না গেলে পিসিবি বিশ্বকাপের ব্যাপারে দেশটির সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করবে। এছাড়াও সেই বৈঠকে আইসিসির রাজস্বে পিসিবির অংশ বৃদ্ধির বিষয়টিও উঠে এসেছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কেউই।
বুধবার (৩১ মে) দুই পক্ষের আরও এক দফা বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। এরপর পাকিস্তান ছেড়ে যাবেন আইসিসির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এর আগে মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে পাকিস্তান যান আইসিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। লাহোরে তাদের অভ্যর্থনা জানান পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
এশিয়া কাপের ভাগ্য নিয়ে পিসিবি এবং বিসিসিআই যখন মতবিরোধে মত্ত তখন আইসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাকিস্তান সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে আইসিসি প্রেসিডেন্ট রে মালির সফরের পর বার্কলেই প্রথম আইসিসি চেয়ারম্যান যিনি পাকিস্তান সফর করেন। অক্টোবর ২০০৪ এর পর এটিই প্রথমবারের মতো আইসিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা একসঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট সদর দফতর পরিদর্শণ করেছেন।