সরকারি খরচে প্লেনে ‘প্রথম শ্রেণিতে’ বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করেছে সরকার। মহামারি করোনাভাইরাস-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীকরণের নানামুখী পদক্ষেপের আওতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপে সই করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারি খরচে আকাশ পথে বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছে। আজ (বুধবার) এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী সই করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি খরচে আকাশ পথে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের সুবিধা স্থগিত থাকবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীকরণের নানামুখী পদক্ষেপের আওতায় সরকারি ব্যয়ে আকাশপথে ‘প্রথম শ্রেণি’তে বিদেশ ভ্রমণ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এবারের বাজেটে ডলার সংকট, রিজার্ভ কমে যাওয়া ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। মূলত ডলারের ব্যয় কমাতেই সরকারি খরচে আকাশ পথে বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করল সরকার।
এর আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত বছরের ১২ মে পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
পরে অবশ্য একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার। সীমিত আকারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৯ নভেম্বর আবারও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। বৈশ্বিক সংকট এবং দেশে ডলার সংকটের কারণে সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়।