আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব পেশকালে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে তিনি এ বাজেট পেশ শুরু করেছেনর্ অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত আছেন।
বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতা বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং করধাপ ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে অপরিবর্তিত আছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে সম্মানিত করদাতাদের প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছে এবং অন্যদিকে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সম্মানিত করদাতাদের কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমি কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতা, বিশেষ করে স্বাভাবিক ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছি।’
মুস্তফা কামাল বলেন. ‘এতে ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘব হবে বিধায় করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হবেন বলে আশা করা যায়। পুরুষ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে সর্বনিম্ন করহার ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’