২০২৩-২৪ বাজেটে প্রবাসী আয় বাড়াতে দেশের প্রচলিত যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে বিদেশফেরত যাত্রীরা ১১৭ গ্রাম ওজনের সোনার বার আনতে পারবেন। আগে একজন যাত্রী ২৩৪ গ্রাম সোনার বার বা স্বর্ণপিণ্ড আনতে পারতেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বক্তব্যে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাগেজ রুল সংশোধন করে স্বর্ণবার আনার ক্ষেত্রে ভরি প্রতি (প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রামে) শুল্ক ২ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। কেউ যদি অতিরিক্ত সোনা আনেন, সেক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান নেই, তাই সোনা বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাব করছি।’
অনেক প্রবাসী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় স্বর্ণের বার নিয়ে আসেন। বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুসারে, একজন ব্যক্তি প্রতি ভরিতে দুই হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে ২৩৪ গ্রাম (২০ ভরি) ওজনের স্বর্ণের বার আনতে পারেন। পর্যটক নয়, এমন যাত্রীরা এ পরিমাণ শুল্ক পরিশোধ করে প্রায়শ এভাবে স্বর্ণ এনে দেশের বাজারে বিক্রি করেন।
বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি না করে ব্যাগেজ বিধিমালার অপব্যবহার রোধে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালার পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তা সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের পঞ্চম বাজেট, টানা ১৫তম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।