বলিউডের জনপ্রিয় ও বিখ্যাত অভিনেতা শাহরুখ খানকে নিয়ে কৌতূহলের যেন কমতি নেই। প্রায় সময়ই অনুরাগীদের মধ্যে আলোচনায় থাকেন । এবার আলোচনায় এসেছে এ তারকার সম্পদ নিয়ে।
গুঞ্জন উঠেছে— বলিউড বাদশা ছয় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন। এ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই ভক্তদের।
শাহরুখের উপার্জনের রেখাচিত্র ব্যাপক ঊর্ধ্বগামী। একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়— ইন্ডাস্ট্রিতে তিন দশকেরও বেশি সময় পার করছেন শাহরুখ খান। শুরু থেকে তার অভিনীত কয়েকটি ছবির দিকে তাকালে বোঝা যাবে, কীভাবে সময়ের সঙ্গে শাহরুখের পারিশ্রমিক বেড়েছে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় অভিনেতার প্রথম ছবি ‘দিওয়ানা’। ওই একই বছরে মুক্তি পেয়েছিল ‘রাজু বন গয়া জেন্টেলম্যান’। এই ছবির জন্য বাদশার পারিশ্রমিক জানলে অনেকেই অবাক হবেন।
‘রাজু বন গয়া জেন্টেলম্যান’র জন্য শাহরুখ পেয়েছিলেন ২৫ হাজার টাকা। এর পর শাহরুখের সব থেকে বড় ব্লকবাস্টার ছিল ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’। এই ছবিতে শাহরুখের পারিশ্রমিক ছিল ৩০ লাখ টাকা। শাহরুখের সাম্প্রতিক ছবি ‘পাঠান’-এ পারিশ্রমিক এবং ছবি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের নিরিখে প্রযোজক যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। এই ছবির জন্য বাদশার পারিশ্রমিক ধার্য হয়েছে ২০০ কোটি টাকা!
এদিকে সফল অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি শাহরুখ একজন দক্ষ ব্যবসায়ী। অভিনেতার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা এবং ভিএফএক্স কোম্পানি রয়েছে, যার নাম রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট। ২০২২ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, এই সংস্থার বর্তমান বাজারমূল্য ১০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে। এ ছাড়া একটি জনপ্রিয় ছাত্র প্রশিক্ষণ অ্যাপেও বিনিয়োগ করেছেন শাহরুখ। একটি অ্যামিউজ মেন্ট পার্কেরও তিনি অংশীদার।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানেও পারফর্ম করেন শাহরুখ। সেখানে পারফর্ম করার জন্য শাহরুখ ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন।
শাহরুখের রসবোধ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আর অভিনেতার এই বিশেষ গুণই বিভিন্ন সময়ে তাকে ছোটপর্দায় বিভিন্ন শোয়ের সঞ্চালকের আসনে বসিয়েছে। জনপ্রিয় গেম শো ‘কওন বনেগা ক্রোড়পতি’র তৃতীয় সিজিনের সঞ্চালক ছিলেন শাহরুখ।
এ ছাড়া তার ঝুলিতে ছিল ‘কেয়া আপ পাঁচয়ি পাস সে তেজ হ্যায়’ এবং ‘জোর কা ঝটকা’ রিয়্যালিটি শো। বিভিন্ন সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, এ মুহূর্তে কোনো শোয়ের অংশ হতে প্রতি এপিসোডে বাদশা আড়াই কোটি টাকা নিয়ে থাকেন।