আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে।’ দিবসের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ।’
রোববার (৪ জুন) দুপুরে এ উপলক্ষে সরকারীভাবে নেওয়া নানা কর্মসূচি সর্ম্পকে জানাতে সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচিসম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ৫ জুন সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করবেন। শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা চলবে ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত। ২৭ থেকে ৩০ জুন ঈদুদ আজহার সরকারি ছুটি থাকায় বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ২৬ জুন এবং ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত।
পরিবেশ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্য ভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর হতে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে। তিনি জানান, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশবিষয়ক সেমিনার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও জানান, রোপণ করা বৃক্ষের যত্ন বৃদ্ধির জন্য এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতিবছর ৫ জুন সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।