রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন দাপ্তরিক নথিপত্র অবৈধভাবে আটকে রাখায় এবার অভিযুক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মামলায় সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এর আগে একজন পর্নতারকাকে অর্থ দেওয়ার তথ্য লুকিয়ে রাখার অপরাধে গত এপ্রিলে প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি, সিবিএস নিউজ, সিএনএন ও এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হবার পর তিনি অবৈধভাবে এসব নথিপত্র নিজের আয়ত্বে রেখেছেন। এমনও অভিযোগ রয়েছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচে তার ‘মার-আ-লাগো’ বাসভবনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথিপত্র টয়লেটে ফ্লাশ করে দিয়েছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত অভিযোগের বিস্তারিত জানায়নি ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজ বিভাগ। তবে একাধিক ধারায় অভিযুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। কমপক্ষে সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গঠনের ফলে আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে।
২০২৪ সালে আবারও রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচারণার কাজ শুরু করেছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোন সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা বিরল।
এদিকে নিজের তৈরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প নিজেকে নিষ্পাপ দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের বেলায় এমনটি হতে পারে আমি কখনো ভাবিনি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কলঙ্কজনক দিন। আমাদের দেশ দ্রুততার সঙ্গে নিচুতার দিকে যাচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে সবাই মিলে আমরা আবার আমেরিকাকে মহান হিসেবে গড়ে তুলব।’
তিনি আরও বলেন, আগামী মঙ্গলবার মিয়ামির ফেডারেল আদালতে হাজির হবার কথা রয়েছে তার।
গত এপ্রিলে প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। একজন পর্নতারকাকে অর্থ দেওয়ার তথ্য লুকিয়েছিলেন বলে সে যাত্রায় অভিযোগ আনা হয়। ওই সময় গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান। ওই মামলায় আগামী বছর ফের বিচার কাজ শুরু হবে।