পকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক, বান্নু, ডেরা ইসমাইল খান এবং লাক্কি মারওয়াত জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ১৪৫ জন। খবর ডনের।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) দ্বারা জারি করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বান্নু থেকে ১৫ জন, লাকি মারওয়াত থেকে পাঁচজন, কারাক থেকে চারজন এবং ডিআই খানে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এতে আরও বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভারী বর্ষণের কারণে ৬৯টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পৃথকভাবে কেপি রেসকিউ ১১২২ এর মহাপরিচালক ড. খাতির আহমেদ একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেছেন, বৃষ্টি সম্পর্কিত বেশিরভাগ দুর্ঘটনায় ছাদ এবং দেয়াল ধসে পড়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চলছে।
পৃথকভাবে কেপি ত্রাণ, পুনর্বাসন ও বন্দোবস্তের মুখপাত্র দ্বারা জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভাগের সচিব উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশনা জারি করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া হবে।
এদিকে খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) অন্তর্বর্তী তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার ফিরোজ জামাল কাকাখেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রাদেশিক সরকার বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাকের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
তিনি বলেন, রেসকিউ ১১২২ এবং পিডিএমএ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার হাসপাতালগুলোকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উইংয়ের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিপি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া এবং পিডিএমএ এবং রেসকিউ ১১২২-এর সহযোগিতায় কাজ করার জন্য জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছেন।