বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে এই দুই সিটি নির্বাচনের প্রচার। প্রচারের শেষ দিন শনিবারে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ করেছেন।
এবারের খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৫ জন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র প্রার্থীর মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।
নগরবাসীর ধারণা, তার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় সহজেই জয় পাবেন নৌকার এই প্রার্থী। এরপরও নির্বাচনকে হাল্কাভাবে নেননি তিনি। মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক প্রচার, গণসংযোগ ও পথসভাগুলোতে ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুলনা মহানগরীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার থেকে তারা ভোট কেন্দ্রসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল শুরু করেছে।
খুলনা বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান জানান, কেসিসি নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ২০ জন করে মোট ২২০ জন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি দলে ৪ থেকে ৫ জন অফিসার দায়িত্বে রয়েছেন।
অপর দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
এবার বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। সিটি নির্বাচনে এবার নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।
এই সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমন্বিত টহল শুরু করেছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি। শনিবার সকাল থেকে নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে এসব বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
সড়কের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের করা হচ্ছে তল্লাশি। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজার ৪শ’ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার ৩শ’ জন পুলিশ। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।