প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সার্বিকভাবে সুশৃঙ্খল ও আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনায় ভোট পড়েছে অনুমানিক ৪৫ ভাগ এবং বরিশালে ৫০ ভাগ।
সোমবার (১২ জুন) বিকেলে দুই সিটির ভোটগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, বরিশালে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। সিটি করপোরেশনটিতে সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়।
বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বিসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান, স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন প্রমুখ।
বরিশালে ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সিটি করপোরেশনটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।
অপরদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বাদ দিলে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।
খুলনায় ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সিটি করপোরেশনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।