২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন না, এক দিন আগেই জানিয়েছেন লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপ দিয়ে সাফল্যের বৃত্ত পূরণ করা মেসি ৩৯ বছর বয়সে আগামী বিশ্বকাপে খেলবেন, এমন সম্ভাবনা কমই ছিল। তাই মেসির এমন সিদ্ধান্ত মোটেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো কিছু ছিল না।
এরপরও নামটা যেহেতু মেসি, তাই তার না খেলা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে আফসোস, আক্ষেপ জাগাটাই স্বাভাবিক। আর বেইজিংয়ে প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চিরচেনা সেই মেসিকে দেখার পর সেই আক্ষেপ বাড়ার কথা বহুগুণ। মেসিও হয়তো সেই সব ভক্তের জন্যই ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে প্রথম গোলটি করেন মেসি। তা–ও ম্যাচের বয়স যখন মাত্র ৮০ সেকেন্ড। এটি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারের দ্রুততম গোল। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেন মেসি। সেখানে আগামী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে যা বলেছি, সেটাই স্বাভাবিক। বয়স এবং সময়ের কারণে বিশ্বকাপ খেলাটা কঠিন হবে।’
২০২২ বিশ্বকাপ নভেম্বর–ডিসেম্বরে হলেও ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে জুন–জুলাইয়ে। এখন থেকে যা আরও তিন বছর দূরে। মেসি মনে করেন বিশ্বকাপের আগে ব্যস্ততার অনেক উপলক্ষ আছে। আপাতত তিনি সেসব নিয়েই ভাবছেন, ‘প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন আমি উপভোগ করছি। এরপর বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ও কোপা আমেরিকা আছে। চিন্তা করার জন্য বিশ্বকাপ অনেক দূরের বিষয়। নতুন একটা চক্র শুরু হবে, বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে। যা অর্জন করেছি, তা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। সামনে কী আসছে, তা নিয়েও ভাবতে হবে।’
মেসির ক্যারিয়ারের বিশেষ এক মুহূর্তের সাক্ষী চীন। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে সোনা জিতেছিলেন মেসি। বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে মেসি আবারও বললেন চীনে আসতে পারাটা উপভোগ করেন তিনি, ‘আমরা সব সময়ই এখান আসাটা উপভোগ করে আসছি। আর্দ্রতা, গরমের কারণে আজকে এখানে খেলা কঠিন ছিল। তবে এসব কিছু ছাপিয়েই আমরা সব সময়ের মতো একই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে খেলা চালিয়ে গেছি।’
এশিয়া সফরে মেসিদের পরের ম্যাচ ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। এরপরই ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই শুরু করবে আর্জেন্টিনা। আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া বাছাইপর্বে স্কালোনির দলের পথচলা শুরু হবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।