ব্যাটিং ব্যর্থতায় শিরোপার কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দলকে। ভারতের দেয়া লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা।
বুধবার (২১ জুন) বৃষ্টির কারণে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালও মাঝপথে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি থামলেও টাইগ্রেসদের ব্যাটিং বিপর্যয় থামানো যায়নি। ভারতের দেয়া ১২৮ রানের জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার ৪ বল আগে ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় লতা মন্ডলের দল। এতে ভারত ৩১ রানে জয়লাভ করে।
ভারতের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার দিলারা আক্তারকে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন উইকেট পাওয়া মান্নাত কাশ্যপের বলে তিনি বোল্ড হন তিনি। এরপর দলীয় ১২, ১৯, ২৯ এবং ৩৭ রানে নিয়মিত উইকেট হারায় টাইগ্রেস জুনিয়ররা।
বৃষ্টি শুরুর আগে ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন জয় থেকে ৬২ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। হাতে ছিল ৪২ বল ও ৪ উইকেট। বৃষ্টি থামার পর ৩৮ বল থেকে মাত্র ৩০ রানই তুলতে পারে তারা। টাইগ্রেসদের হয়ে নাহিদা এবং সোবহানার পর ওপেনার সাথী রানি (১৩ রান) একমাত্র দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন।
ভারতের হয়ে শ্রেয়াঙ্কা ৪টি, মান্নাত ৩টি, কনিকা আহুজা ২টি এবং তিতাস সাধু নিয়েছেন একটি উইকেট।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করা ভারত ১২৭ রানের মাঝারি পুঁজি সংগ্রহ করে। শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে শুরুর ব্যাটিং কিছুটা ধীরগতির হলেও পরে ভারসাম্য আসে ভারতীয় ইনিংসে। তবে মাঝপথে নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় জুনিয়র টাইগ্রেসরা। সে সময় মাত্র ১৫ রানের মধ্যে ভারত ৪টি উইকেট হারায়।
প্রতিপক্ষ ভারতের পুঁজি না হলে আরও বেশি হতে পারত। তবে এরপরও থেমে যায়নি ভারতীয় ইনিংস। দীনেশ বৃন্দার ৩৬ এবং কনিকা আহুজার ৩০ রানে ভর করে তারা লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায়। এছাড়া ইউ ছেত্রি ২২ ও শ্বেতা শেহরাওয়াতের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
বাংলাদেশ ভারতীয়দের সর্বশেষ সপ্তম উইকেটের পতন ঘটায় ১০৫ রানে। এরপর তাদের আর কোনো উইকেট তো পড়েইনি, উল্টো শেষ ১৪ বলে ভারত ২২ রান তুলে নেয়। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার ও সুলতানা খাতুন। এছাড়া সানজিদা আক্তার মেঘলা ও রাবেয়া খানের শিকার একটি করে।