পারমানবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়াতে গত ২৩ বছরে এ রকমের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান বিদ্রোহ করার পর চিন্তায় পুতিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের এই সংকট সামলে ক্ষমতায় টিকে থাকা তার জন্য কঠিন হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সাংবাদিক নিক প্যাট্রন এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, রুশ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিট প্যাট্রন বলেছেন, এই বিদ্রোহ আসন্ন ছিল চলমান যুদ্ধের অব্যবস্থাপনার কারণে। অপরদিকে এটি অসম্ভব ছিল কারণ যারাই পুতিনের বিরুদ্ধে যান, তাদের গুম করে দেওয়া হয় অথবা বিষপ্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
তবে তা সত্ত্বেও বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ সেনাবাহিনী এখন ভ্রাতৃহত্যার দ্বারপ্রান্তে আছে। যদি রাশিয়ার অভিজাতরা এখন নিজেদের বাঁচাতে চায় তাহলে তাদের স্বদেশীদের ওপরই গুলি চালাতে হবে।
নিক প্যাট্রন বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে ওয়াগনার গত কয়েকদিন ধরেই এ বিদ্রোহের পরিকল্পনা করেছে। বাহিনীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোশিনের একটি পরিকল্পনা ছিল। বিদ্রোহ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আনতে প্রেসিডেন্টকে বাধ্য করবেন। কিন্তু শনিবার পুতিন জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে তিনি বুঝিয়েছেন প্রিগোশিনের এ পরিকল্পনা সফল হবে না।
বর্তমানে যা চলছে সেটি রাশিয়ার অভিজাত শ্রেণি এবং ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার-দুই পক্ষের জন্যই অস্তিত্ব রক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিশ্লেষক বলেছেন, প্রিগোশিন হয়তো বিদ্রোহে জয়ী হবেন না, তবে দুর্বল হয়ে যাওয়া পুতিন আগামী কয়েক মাসে নিজের শক্তি প্রমাণের জন্য অযৌক্তিক অনেক কিছু করতে পারেন।