এই তো কয়েকদিন আগেও প্রাণোচ্ছল ছিলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। ভারত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময়টাতে চনমনে ছিল জাতীয় দলের পরিবেশ। কিন্তু পরশু আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের পর রাতারাতি সেসব উধাও। সব মিলিয়ে কেমন যেন একটা গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে ক্রিকেটারদের মাঝে। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
চট্টগ্রামের প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা মূলত ভুগেছে আফগানদের স্পিনে। একই পিচে আফগানিস্তানের স্পিনাররা দুর্দান্ত খেললেও একেবারে নির্বিষ ছিলেন বাংলাদেশের স্পিনার। সাদা বলের ক্রিকেটে আফগানিস্তান ভালো দল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের চেয়েও ভালো বোলিং লাইনআপ তাদের। বিশ্বমানের তিনজন স্পিনার নিয়ে গড়া তাদের দলটি। কেউ স্বীকার করুক না করুক, কোনোরকম দ্বিধা ছাড়াই তা মানছেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ নিক পোথাস।
সোমবার তৃতীয় ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে পোথাস বলেন, ‘সত্যি বলতে বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্পিন অ্যাটাক আফগানিস্তানের। তাদের ৩ স্পিনার সাদা বলের ক্রিকেটে প্রচুর ম্যাচ খেলে। এখন সারা বিশ্বেই খেলে বেড়াচ্ছে। তাদের মতো খেলোয়াড় থাকা একজন অধিনায়কের স্বপ্ন। তবে এই চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা আমাদের জন্য এডভান্টেজ। কারণ এটা আমাদের আরও ভালো করে তুলবে। এই লেভেলের স্পিন মোকাবেলা করার পর আপনি যে কাউকে মোকাবেলা করতে পারবেন।’
এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ হারলেও এখানে ইতিবাচক দিক খুঁজলেন পোথাস, ‘বিশ্বের আর কোনো দলেই এই মানের ৩ স্পিনার নেই। তাই বলব এই প্রস্তুতিটা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। র্যাংকিংয়ে তারা কত সেটা বড় বিষয় নয়। তবে তাদের কোয়ালিটির দিকে দেখুন, আমি মনে করি বিশ্বের সেরা স্পিনারদের মধ্যে এই ৩ জন আছে। আমরা এটাকে খুবই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখছি।’
লম্বা সময়ের পারফরম্যান্স হিসেব করেই বাংলাদেশ দলকে মাপতে বললেন পোথাস, ‘আমাদের উচিত ওদেরকে লম্বা সময়ের জন্য মাপা। এখানে সবাই দ্রুত ফল চায় কিন্তু ক্রিকেটে ফলটা লম্বা সময়ে আসে। তাই ক্রিকেটারদের লম্বা সময়ের ফলে মাপা উচিত।’
তিনি মনে করেন, দলের তরুণ ব্যাটাররা সময়ের সাথে সাথে মানিয়ে নেবেন, আরও উন্নতি করবেন। পোথাস জানান, ‘উন্নতি এত দ্রুত হয় না। সময় লাগবে। আমাদের দলে অনেক তরুণ ব্যাটার আছে যারা আরও ১০-১৫ বছর খেলবে। ব্যাপারটা রোমাঞ্চকর। পুরো বিশ্বই ওদের বিপক্ষে খেলতে সংগ্রাম করে। মিডলসেক্সে আমি মুজিবের সাথে কাজ করেছি। উইকেটরক্ষক হিসেবে পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমিও উইকেটের পেছন থেকে তার বল বুঝতে ঝামেলায় পড়েছি। ওয়ার্ন বা মুরালির সেরা সময়ও নয়। তারা অন্য মাত্রায় আছে। এ কারণে লিগগুলোতে মিস্ট্রি স্পিনারদের এত দাম ওঠে।’