রাজধানীতে একইদিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ থাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসাধারণ ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।
তথ্যমতে, সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্য সমাবেশ করবে বিএনপি। দলটির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে এই তারুণ্যের সমাবেশ। তবে, সমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত হবেন।
ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগ মিলে এই সমাবেশে বড় ধরণের শোডাউন করতে চায় বিএনপি। সমাবেশে নতুন বার্তা ও রূপরেখা দিতে পারে দলটি।
অন্যদিকে, একইদিনে বেলা আড়াইটায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যৌথভাবে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আন্দোলনের নামে বিএনপি যাতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সেজন্য জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ক্ষমতাসীনদের এই কর্মসূচি।
এদিকে, দেশের প্রধান দুই দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, একই দিনে বড় দুই দলের কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন সিভিলে ডিউটি করবে। তারা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে।
তিনি বলেন, কর্মসূচিতে যদি কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, নতুন ভোটার আর তরুণদের কাছে টানতে জুন মাসের প্রথমদিকে বিএনপি ‘তারুণ্য সমাবেশে’র ঘোষণা দেয়। দলটির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয় নীতি নির্ধারণী ফোরাম। ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট ও ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে।