চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটের পরিস্থিতি সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার সকাল ৮টায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ছাড়াও বেগম রাশেদা সুলতানাসহ অন্যরা নির্বাচন ভবনের সিসি ক্যামেরা মনিটরিং সেলে বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইসির সরকারি জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ১২৫১টি। ১ হাজার ৫৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ‘অপ্রীতিকর ঘটনার’ খবর তারা পাননি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)। এতে মোট চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পুলিশ এবং এপিবিএনের সমন্বয়ে ৮ ওয়ার্ডে আটটি মোবাইল ফোর্স কাজ করছে। এছাড়াও ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ৪টি টিম (প্রতি ২ ওয়ার্ডে ১টি করে), বিজিবি ৪ প্লাটুন (প্রতি ২ ওয়ার্ডে ১টি করে) নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।
গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যু ঘটে। এরপর এ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।