মোদি পদবির বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় ভারতের বিরোধীদল ও দেশটির সবচেয়ে পুরনো দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিত করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) আদালত থেকে এ রায় দেওয়া হয়। এর ফলে, পার্লামেন্টে ফিরতে রাহুল গান্ধীর আর কোনো বাধা রইলো না। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, মানহানি মামলায় গত মার্চে ৫৩ বছর বয়সী রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের সাজা দেয় সুরাটের একটি আদালত। পরে, রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। এতে করে লোকসভার সদস্য পদ হারান কংগ্রেসের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা। পাশাপাশি সরকারি বাংলোও ছাড়তে হয় তাকে। রাহুলের বিরুদ্ধে হওয়া রায়ের সমালোচনা করে সমালোচকরা। তারা বলেছিল, এই রায়ের মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের বিরোধী দলগুলোকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানী নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন রাহুল। তবে, আপিলের সময় তিনি জেলে ছিলেন না।
আজ কংগ্রেস নেতার সাজা স্থগিত করে এক বিচারক বলেন, ‘চার বছর আগে প্রচারণার বক্তব্যে রাহুলকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার ন্যায্যতা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রাথমিক আদালতের বিচারক।’ রায়ে বিচারক বি.আর. গাভাই বলেন, ‘চূড়ান্ত রায়ের আগে রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করার আদেশ স্থগিত করা দরকার।’
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ছেলে। দেশটির রাজনীতিতে এক সময় বেশ প্রভাব ছিল কংগ্রেসের। তবে, সম্প্রতি দুটি নির্বাচনের নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির কাছে হেরে কোণঠাসা হয়ে গেছে দলটি।
২০১৯ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সময় ওয়েনাডে এক নির্বাচনী জনসভায় পলাতক ব্যবসায়ী লোলিত মোদি ও নীরব মোদির নাম উল্লেখ করে তোপ দাগেন রাহুল। এসময় ভারত থেকে এ দুই ব্যবসায়ীর পালিয়ে যাওয়ার উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব চোরের শেষে একই নাম –মোদি।’ এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মানহানি ও অবমাননার দায়ে মামলা করেন বিজেপি নেতা ও গুজরাটের তৎকালীন মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি।