দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কৃষি ঋণ বিতরণ নীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (৬ আগস্ট) মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খান। এ সময় কৃষিঋণ অধিদফতরের (এসিডি) পরিচালক কানিজ ফাতেমাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, যাদের ছাদে বাগান রয়েছে তারাও খামার ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের চাহিদা বিবেচনায় রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশে বিদেশি ব্যাংকগুলোর শাখাগুলোকে ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ বিতরণ করেছে। যা আর্থিক বছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে মোট ৩৬ দশমিক ১৮ লাখ কৃষক কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে ১৮ দশমিক ৮১ লাখ নারী প্রায় ১২ হাজার ৭৫২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যাংক এবং মাইক্রো ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট (এমএফআই) বা এনজিও থেকে ঋণ পেয়েছেন।
বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে কৃষি ঋণ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াও, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে (বিআরডিবি) কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ হিসাবে যথাক্রমে ২৬ কোটি টাকা এবং ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল।
ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, সিন্ডিকেটকৃত ঋণ বিতরণ) এবং ব্যাংক-এমএফআই সংযোগগুলো ক্রেডিট বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যবহার করবে।
এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০ শতাংশ হতে হবে। আগে তা ছিল ৩০ শতাংশ।