দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন মাইলফলকের মধ্যে অন্যতম পদ্মা সেতু। দেশের সামর্থ্য ও সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে স্থাপিত স্বপ্নের এই সেতুতে আসন্ন আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফির ফটোসেশন সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে তিন দিনের সফরে বিশ্বকাপ ট্রফি এখন বাংলাদেশে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফি পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু প্রকল্পের ১ নম্বর সার্ভিস এরিয়াতে নেওয়ার কথা ছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সড়কপথে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর ১ নম্বর পিলার-সংলগ্ন এলাকায় ট্রফি নিয়ে আসা হয়।
সেখানে প্রমত্তা পদ্মার তীরে স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে ঘিরে চলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ফটোসেশন। সেখানে আইসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
আইসিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই দেশের অন্যতম স্থাপনা পদ্মা সেতু। সে কারণে পদ্মা সেতুতে এবার আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফির ফটোসেশন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। আগেরবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফির ফটোসেশন করা হয়েছিল।
বিশ্বকাপ ট্রফি ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল (৮ আগস্ট) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেওয়া হবে ট্রফিটি। সেখানে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ করে দেওয়া হবে ক্রিকেটার, বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্রিকেট সংগঠক ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের।
এরপর শেষের দিন তথা বুধবার (৯ আগস্ট) ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। নির্দিষ্ট একটি দূরত্ব থেকে ভক্তরা এর সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন। এজন্য কোনো টিকিট লাগবে না। অধিক সংখ্যক মানুষকে ট্রফি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ করে দিতেই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ট্রফি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিসিবি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। দেশটির ১০টি স্টেডিয়ামে ৪৬ ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট ১৭ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে।