অবশেষে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে এক বিবৃতিতে সাকিবকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে। আসন্ন এশিয়া কাপ দিয়ে নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন সাকিব। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তার নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ দল। আর আগে থেকেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে আছেন তিনি।
গত ৩ আগস্ট বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনের গ্যারেজে সংবাদ সম্মেলন স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম। ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপও খেলছেন না তিনি।
আসন্ন এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপেরআগ-মুহূর্তে এসে তামিমের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছিল বিসিবি। সেই সংকট নিরসনে বেশ বেগ পেতে হয় বিসিবিকে। তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সাকিবকেই বেছে নেয় বিসিবি। এই সময়ে একাধিক নাম ঘিরে গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবের অভিজ্ঞতায়ই আস্থা রেখেছে বোর্ড।
সাকিবের সঙ্গে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন চলে সাকিব-লিটনের মধ্যে।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।
ওই দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কতৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।
এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।