এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। অভিজ্ঞ রিয়াদের জায়গা হয়নি সেই ঘোষিত দলে। ভগ্নিপতির বাদ পড়া নিয়ে জান্নাতুল কেফায়াত মন্ডি (মুশফিকের স্ত্রী) ফেসবুকে প্রথমে স্ট্যাটাস দেন।
পরে রিয়াদের স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি আবেগঘন স্ট্যাটাসে স্বামীকে অবহেলা করার কথা লেখেন। এই দুটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
জাতীয় দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ত্রীদের স্ট্যাটাস বিসিবি ও জাতীয় দল নির্বাচকদের বিরুদ্ধে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী কোনো ক্রিকেটার বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এই শর্ত মেনে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে দাবি তাদের। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের সতর্ক করার পক্ষে বিসিবি।
দুটি স্ট্যাটাসই বিসিবি কর্মকর্তারা দেখেছেন। প্রমাণ হিসেবে স্ক্রিনশট নিয়েও রেখেছেন জাতীয় দল-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।
বিসিবি, জাতীয় দল, জাতীয় নির্বাচক প্যানেল বা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে যায় প্রকাশ্যে এমন কোনো মন্তব্য করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিতে পারবেন না চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
ক্রিকেটাররা চুক্তির শর্ত মানলেও তাদের পত্নীদের মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখতে পারছেন না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারকা ক্রিকেটারদের পত্নীরা প্রতিবাদী হচ্ছেন ফেসবুকে। মুশফিকের স্ত্রী মন্ডি ও রিয়াদের স্ত্রী মিষ্টি এই প্রথম বিসিবিকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাস দেননি।
বোর্ড বা নির্বাচকদের কোনো সিদ্ধান্ত নাখোশ হয়ে আগেও স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তারা। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরও পিছিয়ে নেই। যদিও শিশিরের স্ট্যাটাস বিসিবি, জাতীয় দল নির্বাচকদের বিরুদ্ধে ছিল না।
তিনি স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিকেটারকে ইঙ্গিত করে পরোক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তারকা ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের এ ধরনের স্ট্যাটাস বিব্রতকর এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন বিসিবির একাধিক পরিচালক।
নাম গোপন রাখার শর্তে একজন পরিচালক বলেন, ‘যেহেতু চুক্তিতে একটি শর্ত রয়েছে এবং খেলোয়াড়রা তা জানেন। মৌখিকভাবে হলেও এ ব্যাপারে ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হবে। বিষয়টি শৃঙ্খলা বিভাগ দেখবে।’
তবে এ বিষয়ে বিসিবির শৃঙ্খলা বিভাগের কারও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কেউ ফোন রিসিভ করেননি।