গণতন্ত্রের নামে ফ্যাসিবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে টিএসসিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অভিসিক্ত করতে যাচ্ছেন। আর এটাই শেখ হাসিনার অপরাধ।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র। ফ্যাসিবাদ কাকে বলে? ফ্যাসিবাদের পুরো চরিত্রটাই বিএনপির ক্ষমতার আমল কে তা ফুটিয়ে তুলে। ফ্যাসিবাদ এর জ্বলন্ত প্রমাণ বিএনপি। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
পঁচাত্তরের সেনাপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন জানিয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমানের সাহসে সাহসী হয়ে কুলাঙ্গার বাহিনী সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। পৃথিবীর ইতিহাসে শিশু ও অবলা নারীকে টারেগেট করা হয় না। কিন্তু তারা শিশু, অবলা নারী ও অন্তসত্বা নারীকেও হত্যা করলো।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে পাকিস্তান চলে যান। কারণ পৃথিবীর আর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিহ্ন নাই।
শেখ হাসিনার বড় দোষ সত্য কথা বলা জানিয়ে কাদের বলেন, এই বছর ২০ থেকে ২২ টা দেশে নির্বাচন হবে। তাদের বাদ দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা বাংলাদেশে কেন? পাকিস্তানে যাচ্ছেন না কেন? ইউরোপ-আমেরিকার নজর বাংলাদেশে পরেছে। কারণ শেখ হাসিনা সত্য কথা বলেন।
এ সময় তিনি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের সংগঠনে অনুপ্রবেশ কারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ কারীদের কোন অধিকার নেই। তাদের পরিচয় অনুপ্রবেশকারী। কোন ফাক দিয়ে তারা ঢুকে গেছে আমাদের সৃজনশীল দলে। তাদের কে চিহ্নিত করা তোমাদের পবিত্র কর্তব্য।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।