দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে হোটেল স্যান্ডটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুদেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে দীর্ঘ চার বছর পর দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমাদের অব্যাহত চাপের মুখে হওয়া বৈঠক বিশেষ বার্তা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীন ও বাংলাদেশের এ বৈঠককে বেশ গুরত্বপূর্ণ হিসেবেও বিবেচনা করছেন তারা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন ।
এর আগে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জোহানেসবার্গে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে জোহানেসবার্গের র্যাডিসন ব্লু হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ এ বক্তব্য দেন তিনি।
যৌথভাবে ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। পরে আফ্রিকার দেশসুমুহে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগে (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ ও ব্রিকস প্লাস ডায়লগ) নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সভাতেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। চার দিনের সফর শেষে ২৭ অগাস্ট সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশ রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকস।