খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রধান অসুখের চিকিৎসা দেশে নেই। তাই, জরুরি ভিত্তিতে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, লিভার সিরোসিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত খালেদা জিয়া। তার বুকে ও পেটে পানি চলে এসেছে। বাংলাদেশে তারা আর তেমন কোনো চিকিৎসার অপশন নেই। খালেদা জিয়ার পেটের ও বুকের পানি বের করা এবং এন্টিবায়োটিক দেওয়া ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা নেই দেশে। উনার মৃত্যুঝঁকি অনেক বেশি। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া দরকার।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে কয়েক দফায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।