বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছেই না কেবল, বিশ্ব দরবারে ইতোমধ্যেই ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরোনোর পূর্বেই ‘স্বল্পন্নোত’ হতে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে উঠে এসেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সঞ্চারিত। এ স্বপ্ন আমাদের লক্ষ্যপূরণে সাহসী করে তুলে। আমরা শিক্ষার আলোয় স্বদেশ সাজাতে আরও সংকল্পবদ্ধ হয়ে উঠি। কারণ আমরা জানি-
শিক্ষাই জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। দক্ষ মানব সম্পদ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষা সমাজকে কাংখিত- ইতিবাচক উন্নয়নের দিকে পথরেখা নির্দেশ করে। তাই একটি উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষার বিকল্প নেই। আর প্রাথমিক শিক্ষা জাতি গঠনের ভিত নির্মাণ করে- আর তাই
স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষকের চাকুরি সরকারিকরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি সরকারি রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণসহ প্রধান শিক্ষকের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান করেন এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল একধাপ উন্নীকরণসহ ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬জন শিক্ষকের চাকুরি সরকারিকরণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আপনারা দেখেছেন চলতি বছরের শুরুতে আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ৩৭ হাজার ৫ শত ৭৪ জন মেধাবী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করেছি; যা স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ। এ শিক্ষকগণ আগামী ৩০-৩৫ বছর কোমলমতি শিশুদের পাঠদানে নিয়োজিত থাকবেন, তাদের হাতেই গড়ে উঠবে ২০৪১ সালের উন্নত ‘উন্নত বাংলাদেশের কারিগর’। শিক্ষক ঘাটতি পূরণ এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করার জন্য আমরা এবার তিন পর্বে নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রথমপর্বের প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সম্বলিত যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অন্তরায়। এ জন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সাথে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এবং গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে। ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে পরিবর্তিত নামসমূহের গেজেট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগ করা হয় এবং বিভিন্ন সময় অন্তঃ উপজেলা, আন্তঃ উপজেলা এবং আন্তঃ বিভাগে যৌক্তিক প্রয়োজনে বদলী করা হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে এ বদলীকে কেন্দ্র করে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত একটি বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি হতো, নানা জায়গা থেকে বদলীর জন্য সুপারিশ, অনুরোধ, আবেদন, সাক্ষাৎ, যোগাযোগ এসব ছিলো নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। এতে করে শিক্ষকরা বিভিন্ন অফিসে যাতায়তের দরুণ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারতেন না এবং মানসিকভাব বিপর্যস্ত থাকতেন যার ফলে পাঠদান কার্যক্রমও বিঘ্নিত হতো, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তো কোমলমতি শিশুদের ওপর। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ ব্যবস্থা পূরো পাঠদান কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে অনেকটাই বিপর্যস্ত করে তুলেছিলো। এ অবস্থার পরিত্রাণে সহজে-স্বাচ্ছন্দে বদলী কার্যক্রম পরিচালনা করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর, বাস্তব ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়। সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তথ্য-প্রযুক্তিকে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকগণকে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে দ্রুততার সাথে অনলাইনে বদলীর সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে সময় সময় পাইলটিং করে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলির লক্ষ্যে গত ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ সংশোধিত অনলাইন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মাত্র ০৭ দিনের মধ্যে অনলাইনে বদলীর জন্য আবেদনকৃত ২৫ হাজার আবেদনের বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপও অত্যন্ত সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম চলমান।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ (বাংলা, গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান) চলছে। ইতোমধ্যে ১লক্ষ ৩১ হাজার শিক্ষক সরাসরি প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এর সকল বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণে বাংলা ম্যানুয়াল প্রণিত হয়েছে, কোর ট্রেইনার এবং মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে ২০৮২ জন তৈরি করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে ১,৩১০০০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাবেন। এ প্রশিক্ষণটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষক পর্যায়ে চলছে। ৬৭টি পিটিআই এর মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে । তাছাড়া এ প্রশিক্ষণটি অনলাইন কোর্সের মাধ্যমেও পরিচালনা করা হচ্ছে।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় শুধু প্রথম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তক প্রণীত হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্য বই পর্যায়ক্রমিকভাবে বিদ্যালয়ে দেয়া হবে। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ৪+ ও ৫+ কে বিবেচনা করে ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শক্ষিা পাইলটিং হিসেবে ৩২১৪টি স্কুলে এ বছর শুরু করা হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৭ জন শিক্ষার্থীর প্রোফাইল প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৪ সালের পূর্বেই সকল কাজ সমাপ্ত হবে। এতে করে একক পরিচিত (UID)’র ভর্তি, পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, হাজিরা তথ্য, মিড ডে মিল, উপবৃত্তি বিতরণ পরবর্তিতে নির্ভুল NID তৈরিসহ সকল কাজ সহায়ক হবে।
তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের এ সময়ে প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ভিত নির্মাণে আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে কম্পিউটার কোডিং বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে । আশা করি এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও বোধে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি কৌতুহল ও অনুসন্ধিৎসা সৃষ্টি করতে পারবো।
মানসম্মত প্রাথমকি শিক্ষা নিশ্চিত অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাব কাজ করছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় আমরা ৫০ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আরও ৪০,০০০ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। সদ্য জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (এনএনজিপিএস) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আরও ২৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে ২২, ১৪০টি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার (এলটিসি) নির্মিত হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান সম্ভব হবে। এ ছাড়াও ময়নমসিংহের ন্যাশনাল একাডেমি ফর প্রাইমারি এডুকেশন (ন্যাপ) ক্যাম্পাসে ৬৬ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণে কাজ চলামান। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরও স্বাচ্ছন্দ্যে ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।
শিক্ষাকে আনন্দময় এবং বিদ্যালয়কে শিশুর প্রিয়প্রাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য ১ হাজার ১৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃ’ষ্টিনন্দন প্রকল্প’র কাজ চলমান। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নতুন রূপে সাজানো হবে। এছাড়াও উত্তরাতে তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। সব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে।
নতুন শিক্ষানীতির আলোকে সরকার পুরোনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে পাল্টে এমন এক শিক্ষার বীজ বপণ করছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিস্ক ও পিঠ থেকে মুখস্থবিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফলে তাদের কৌতুহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, শক্তিকে জাগাবে ও পরিপূর্ণভাবে বিকাশে সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে শিশুর জানার পরিধি বাড়বে এবং সে স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়ে আপন ভূবন সাজাবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে, তা মোকাবেলা করে অভীষ্ট গন্তব্য পৌঁছাবে। তাই এটা বলা যায়, মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক শিশুর অপার সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে সত্যি করে তুলবে।
তথ্য প্রযুক্তি এখন দৈনন্দিন জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। তথ্য প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে শিশুদের শিক্ষাকে সহজ, সুন্দর ও সাবলীল করে তুলতে আমরা নানামুখি কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের লক্ষ্যে ৫০ হাজার ৪১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৮ হাজার ৯২১টি ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড-সিস্টেম সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও, আগামী জুন ২০২৩ এর মধ্যে বিদ্যালয়সমূহে আরও ৫৬ হাজার ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, সাউন্ড-সিস্টেম সরবরাহের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন আছে। ৫০৯ উপজেলার ৫০৯টি বিদ্যালয় ও ৬৭টি পিটিআই-তে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারএ্যাক্টিভ হোয়াইট বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারী স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (IPEMS) উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক ব্যবস্থাপনা, শিক্ষার্থীদের ডাটাবেইজ, শিক্ষা কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনা, ভৌত অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা এবং পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম IPEMS-এ অন্তর্ভুক্ত করা
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জাতির পিতা সবসময় একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। একটি মেধাবী জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে মানসম্মত শিক্ষা অর্জিত হবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে – এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
লেখক: ফরিদ আহাম্মদ, সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।