আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্তত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ২টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্যমতে, আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এবং বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করবে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগ থেকেই রাজধানীতে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে, শুক্রবার রাত থেকেই সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টানে আসতে থাকেন তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
এদিকে, রাজধানীতে যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। মাঠে রয়েছেন র্যাব, পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও। ঢাকার প্রবেশপথ ও মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, সমাবেশের সময় যাতে নাশকতার জন্য কেউ কোনো অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহন করতে না পারে সেজন্য ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সংবিধানে যেকোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মসূচির আড়ালে কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সমাবেশকে ঘিরে ঢাকায় লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এ কারণে ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশের টহল টিম। ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে।