নিজস্ব প্রতিবেদক
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ঘোষিত দেশজুড়ে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও।
সামনের সপ্তাহ থেকে দলগুলো নতুন কোনো কর্মসূচি দেবে কিনা, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, বিএনপি বলেছিল তারা লাগাতার ও কঠোর কর্মসূচি দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল শুক্র ও পরদিন শনিবার বিরতি দিয়ে এমন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে আজ বৃহস্পতিবার।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দিনের অবরোধ শুরু হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে অবরোধকারীরা। বেশকিছু জায়গায় গাড়ি ভাংচুর করে তারা। সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিল সড়কে।
গত রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর দলগুলোর ঘোষিত তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পাশাপাশি রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ঝটিকা মিছিল, সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানসহ কোথাও কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে পিকেটিং হয়।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা দাবি করেছেন, চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখছেন তারা। জনগণের সমর্থনে নজিরবিহীন অবরোধ পালিত হয়েছে। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মহাসড়কগুলোয় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি। ঢাকার ভেতরেও সাধারণ মানুষ নিজ থেকেই সরকারের প্রতি অনাস্থা দিয়ে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। এই বিষয়টি দাবি আদায়ে বিএনপিকে টানা কর্মসূচিতে যেতে অনুপ্রাণিত করছে।
তারা মনে করেন, অবরোধের শেষ কর্মসূচির পর দলের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহজুড়ে ফের দেশব্যাপী অবরোধ দেওয়া হবে। এটি চলমান থাকতে পারে পরবর্তী সপ্তাহতেও।