হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ মনে হয়। অল্প কাজেই ক্লান্ত লাগে। মাথাব্যথা, হাত-পা ঠান্ডা হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিয়ে থাকে। এসব সমস্যায় সাধারণত বলা হয়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে এমনটা হয়। চিকিৎসকরাও এমনটা বলে থাকেন।
রক্তে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন না থাকলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের কাজ ব্যাহত হয়। এ কারণে ক্লান্ত বোধ হয়। নারীদের ক্ষেত্রেও এ সমস্যা হয়। তাদের প্রতিমাসে ঋতুস্রাবের সময় বেশি পরিমাণে রক্ত বেরিয়ে যায়। এ সময় শরীরে আয়রনের অভাব হতে পারে। মূলত হিমোগ্লোবিনের অভাবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এবার তাহলে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডে ও হেলথ শটসের প্রতিবেদন থেকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দূর করা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
পালং শাক : আয়রনের প্রাকৃতিক ভান্ডার হচ্ছে পালং শাক। এতে প্রচুর পরিমাণ ফোলেট রয়েছে। এটি লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ শাকে ভিটামিন সি-ও রয়েছে। যা আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
ডিম : ডিম হচ্ছে প্রাণিজ প্রোটিনের উৎস্য। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি ডিমে এক মিলিগ্রামের মতো আয়রন থাকে। এটি অন্যসব উপাদানের থেকে তুলনামূলক সহজলভ্যও। এ কারণে চাইলেই হাতের নাগালে ডিম পাওয়া যায়।
বিট-গাজর : প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সালাদ হিসেবে বিট-গাজর রাখতে পারেন। এই দুটি উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান।
কিশমিশ-খেজুর : রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক মুঠো কিশমিশ ও কয়েকটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন। ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, কপার ও আয়রন সমৃদ্ধ উপাদান হচ্ছে এই কিশমিশ ও খেজুর। নিয়মিত এই দুটি খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং আয়রন শোষণ ভালো হয়। একই সঙ্গে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় কিশমিশ ও খেজুর।
মরিঙ্গা পাতা : এটি হচ্ছে শজনেপাতা। এ পাতা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। কেউ সবজি হিসেবে কিংবা শাক হিসেবে শজনতেপাতা খেয়ে থাকেন। আবার কেউ শজনেপাতার গুঁড়া খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ চা চামচ করে মরিঙ্গা পাতার গুঁড়া খেতে পারেন। নিয়মিত এই গুঁড়া খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।