আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি ও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত।
জানা গেছে, হরতালকে কেন্দ্র করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতিতে মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ইতোমধ্যে সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হরতালে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবেন র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
জনগণের নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ৪০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন বলেও জানা গেছে। রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করে সেসব স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হরতালে টহল অভিযানের পাশাপাশি ছদ্মবেশে রাজপথে অবস্থান করবেন র্যাব সদস্যরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপারেশন্স মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মাঠে কাজ করছি, পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়বে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, যারা পরিবহণ সেক্টরে আছেন, তাদের বলা হয়েছে যতটা সম্ভব নিজস্ব লোক যেন গাড়িতে রাখেন। গাড়ির ভেতর ছবি তোলা থেকে শুরু করে যা যা করা দরকার, আমরা করব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় যত রকম ব্যবস্থা আছে আমরা নিশ্চিত করব। বাস, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যাত্রীবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবস্থান নেব। এর আগেও ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান, সাদা পোশাকে ও যাত্রীবেশে গণপরিবহণে অবস্থানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। হামলা হতে পারে এমন স্থান শনাক্ত হয়েছে।