Friday, December 27, 2024

ঈদযাত্রায় নিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

আপনজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য প্রায় এক কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বেন বলে ধারণা দিয়েছেন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সেইসঙ্গে আন্তঃজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ যাতায়াত করবেন বলেও দাবি সংগঠনটির। তাই ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে নিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালানোর পরামর্শ সড়ক দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞদের।

সোমবার এক ভার্চুয়ালি সভায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ফেরদৌস খান, নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এবং উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. মো. তৌফিকুজ্জামান এক যুক্ত বিবৃতিতে ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনারোধে নিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালাতে অনুরোধ করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এবার প্রায় ১ কোটি মানুষ আপনজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য ঢাকা থেকে ঘরমুখী যাত্রা করবেন। এছাড়া ঈদের ছুটিতে আন্তঃজেলায় যাতায়াত করবেন প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ। মাত্র কয়েকদিনে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে যাতায়াত করার মতো মানসম্পন্ন গণপরিবহন আমাদের নেই। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, এসময় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন এবং অধিক মাত্রায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। ফলে বহু পরিবারে ঈদের আনন্দ শোকে পরিণত হয়।’

তারা বলেন, আমরা ইচ্ছে করলেই হঠাৎ করে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারব না। তাই যা আছে তা দিয়েই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারি। এই সতর্কতা সব ধরনের মোটরযান চালক, হেলপার ও যাত্রীদের অবশ্য পালনীয় হওয়া উচিত। গাড়ির মালিকদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের দায়িত্ব চালকদেরকে নিয়ন্ত্রিত গতি ও সচেতনভাবে গাড়ি চালাতে উৎসাহিত করা। এসব সতর্কতা অবলম্বনে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি গণমাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারণা চালায় তাহলে দুর্ঘটনা বহুলাংশেই রোধ করা সম্ভব।

সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বেপরোয়া গতি ও অস্বাভাবিক আচরণ। তাই নিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালাবেন। যানবাহনের ৬০ কিলোমিটার গতির পরে প্রতি ৫ কিলোমিটার গতি বৃদ্ধির কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে ২ থেকে ৪ গুণ। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মনে রাখতে হবে, আমাদের জীবনে পরিবার অধিক মূল্যবান। পরিবারের কথা মনে করেই আমাদের সবসময় সাবধান থাকতে হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবোধকে পরিবারের মায়া-মমতা ও মূল্যবোধের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে। যাত্রাপথে আমাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত পরিবারের সব স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে পারে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবোধ পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে আমাদের আচরণ সুতাছেঁড়া ঘুড়ির মতো এলোমেলো হয়ে যায়। তাই চিন্তা-ভাবনায় সবসময় পরিবার ও আপনজনদেরকে সংযুক্ত রাখুন। নিজে নিরাপদে থাকুন এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান হোন। এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা।

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর