ঢাকা টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া টাইগাররা বল হাতে দাপট দেখায়। অল্প পুঁজি নিয়ে মিরপুরে স্পিন দিয়ে পাল্টা আক্রমণ স্বাগতিকদের। মিরাজ-তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়ে কিউই ব্যাটাররা। আলো স্বল্পতার কারণে প্রথম দিন নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয় খেলা। দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান। মিরাজ ৩টি ও তাইজুল পেয়েছেন দুই উইকেট।
বল হাতে নিউজিল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি এই স্পিনারের বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়েছেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। এর পরের ওভারেই তাইজুলের আঘাত। টম ল্যাথামকে ফেরান তিনি। পরের উইকেটটি পেতেও বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশের। তাইজুলকে ডাউন দ্য উইকেটে হাঁকাতে গিয়ে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন নিকোলস। কেন উইলিয়ামসন ও ব্লান্ডেলকে মিরাজ ফেরালে ৪৬ রানেই প্রথম ৫ উইকেট হারায় কিউইরা। প্রথম দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ।
এর আগে, টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত প্রথম চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেই বিপদ থেকে দলকে বাঁচানোর চেষ্টা দারুণভাবেই করছিলেন মুশফিক ও শাহাদাত। কিন্তু লাঞ্চের পর মুশফিক অদ্ভুতভাবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ হলে ফের নামে ধস। তাতে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরগতির। খুব একটা তাড়াহুড়ো করেননি দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং মাহমুদুল হাসান জয়। ইনিংসের ১১তম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বাজে শট খেলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির। এর পরের ওভারেই প্যাটেলের শিকার হন জয়। জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান এবং জয় করেন ১৪।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর বাংলাদেশ আরও চাপে পড়ে মুমিনুল হকের আউটে। এজাজ প্যাটেলের সুইং হয়ে ভেতরের দিকে আসা বলটা ইনসাইড এজ হয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেলের হাতে। টাইগার অধিনায়ক শান্তও এদিন আউট হয়েছেন বাজেভাবে। অহেতুক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। ৪৭ রানে প্রথম ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
শুরুর সেই ধাক্কা সামলে শাহাদাত ও মুশফিক বিরতির পরও খেলছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু হুট করেই অদ্ভুতভাবে মুশফিকুর রহিম আউট হন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন তিনি। ৮৩ বলে ৩৫ রান করে মুশফিক প্যাভিলিয়নে ফিরলে ভাঙে জুটিও। এরপর দ্রুতই আরও চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শেষদিকে নাঈম হাসান (১৩*) ও শরিফুল (১০) মিলে দুইশোর স্বপ্ন দেখালেও শেষ পর্যন্ত পারেননি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া আজাজ প্যাটেল ২টি এবং অধিনায়ক টিম সাউদি ঝুলিতে পুরেছেন ১টি উইকেট।