ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুতই দেশে আসছে। এ লক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী বলেন, মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরের ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা আছে। সেগুলো যাতে ছাড় করা হয় সে বিষয়ে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আসবে বলে আশরা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশের বাজারে আবার পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। সেই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, ভারত নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। সেই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। কিভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে পেঁয়াজ বিক্রি চলতে থাকবে।
দেশের সর্বত্র যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।