নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে, সহকর্মীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার থেকে রুহুল আমিন গাজী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, রুহুল আমিন গাজী কিডনিসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে কারাবাসে তাঁর শারীরিক নানা জটিলতা তৈরি হয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে শাহজাহানপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে।
রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বাসস পরিবারের পক্ষ থেকে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে সংকটাপন্ন অবস্থায় গতকাল (সোমবার) রাতে রুহুল আমিন গাজীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর থেকেই তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পরে রোববার রাত পৌনে ৩টায় রুহুল আমিন গাজীকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখানে নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে আবারও ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।