কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা নিয়ে এর আগে হাজতবাসও হয়েছে সালমানের। আদালতের রায় আসা বাকি। সম্প্রতি এই নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন কিসি কা ভাই কিসি কি জান অভিনেতা। জানালেন, বিচার বিভাগের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং বিচারকদের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে সালমান খানের উপর যোদপুরে ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় সুরজ বারজাতিয়ার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শুটিং করছিলেন তিনি যোধপুরের কাছে মাথানিয়ার বাওয়াদে। অভিনেতার বিরুদ্ধে সেই সময় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য হয় কৃষ্ণসার হরিণ। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তাও বিষ্ণোই সম্প্রদায়।
দাবাং তারকাকে সেই বছরই গ্রেফতার করা হয় এই অভিযোগের ভিত্তিতে। তবে তিনি জামিনে ছাড়া পান। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে রাজস্থান হাইকোর্ট সালমানকে মামলা থেকে খালাস করে দেয়। হাইকোর্ট জানায়, খানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। রাজস্থান সরকার এরপর সুপ্রিমকোর্টে আপিল করে।
সম্প্রতি এক নিউজ পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালমানকে বলতে শোনা গেল, তিনি সত্যিই জানেন না আদালতের সিদ্ধান্ত কী হবে। তবে যাই হোক না কেন মাথা পেতে নেবেন। এবং ভারতের বিচার ব্যবস্থার উপরে তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
তবে সালমান যাই বলুন না কেন, তাঁর উপর থেকে রাগ কমছে না বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার তাঁকে খুনের হুমকি এসেছে। প্রকাশ্য সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই জানিয়েছেন খুন করবেন তিনি সালমানকে। এমনকী, স্বীকার করে নিয়েছেন এর আগেও শার্প শ্যুটার দিয়ে ভাইজানকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তা ব্যর্থ হয়। সঙ্গে লরেন্সের দাবি, যদি ক্ষমা চেয়ে নেন সালমান, বিকানেরে তাঁদের মন্দিরে গিয়ে তাহলে তাঁরা ক্ষমা করার কথা ভেবে দেখবেন।
কাজের সূত্রে, সালমানকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এ পূজা হেগড়ের বিপরীতে। তবে সেই ছবি ভালো ব্যবসা করতে পারেনি বক্স অফিসে। ৮ দিনে ছবি পৌঁছতে পারেনি ১০০ কোটির ঘরেও। যা ভাইজানের ইদ রিলিজ হিসেবে বেশ বিরল ঘটনা। পরবর্তীতে, তাকে ক্যাটরিনা কাইফ এবং ইমরান হাশমির সঙ্গে ‘টাইগার ৩’-তে দেখা যাবে।