রাজধানীর বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুনও। আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ৩৬ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি। ফার্মের মুরগির ডিম ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে সংকট দেখা দেওয়ায় নতুন করে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে আলুর দামও। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে এসব পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
গতকাল রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, উত্তর বাড্ডার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আলু কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩৭ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ও রসুনের দাম আরো বেড়েছে। দেশি ও আমদানি রসুন কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। সরকার খোলা চিনির সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ১০৪ টাকা কেজি।
সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত আছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং সোনালি মুরগি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম ডজনে পাঁচ থেকে দশ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও চাল, ডাল, আটা, ময়দার দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে এসব পণ্য।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা জনস্বার্থে জরুরি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এই মুহূর্তে বিলাসীপণ্য আমদানি বন্ধ রাখা যৌক্তিক। নিত্যপণ্য আমদানি বন্ধ রাখলে দেশের মানুষ বিপাকে পড়বে। তাই সরকারকে বিষয়টি অতি গুরুত্ব দিয়ে এখনই দেখতে হবে। আমদানির পাশাপাশি দেশে উৎপাদনেও আরো জোর দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার যে প্রবণতা চলছে, সেটার লাগামও টানতে হবে।