সাতক্ষীরার সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্লাস্টিকসহ ক্ষতিকর দ্রব্য সুন্দরবনসংলগ্ন নদীতে ব্যবহার বন্ধে এ উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ।
শনিবার (৬ মে) সকাল থেকে বন বিভাগ মৌখিকভাবে পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শ্যামনগর ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের প্রতিটি ট্রলারে প্লাস্টিকসহ ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন রয়েছে। পর্যটককে ডাস্টবিন ছাড়া কোথাও কোনো ময়লা না ফেলার জন্য বলা হয়। অধিকাংশ পর্যটক তা মেনে চলেন। সুন্দরবনসংলগ্ন অসংখ্য গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামে প্রতিদিন নানা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান শেষে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পাত্র সুন্দরবনসংলগ্ন নদীতে ফেলা হয়। যা জোয়ারে ভাসতে ভাসতে সুন্দরবনে চলে আসে। গ্রামের মানুষ সচেতন না হলে এটি বন্ধ হওয়া কঠিন। পর্যটক ঢোকা বন্ধ রাখলে ট্রলার চালানোর সঙ্গে জড়িত ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষ বেকার হবেন।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের নদ-নদী ও বনে পর্যটকরা যাতে প্লাস্টিকের জিনিস না ফেলেন সে জন্য বন ও পরিবেশমন্ত্রী অনেক আগেই চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির বরাত দিয়ে একাধিক ট্রলারমালিকদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত ২৭ এপ্রিল চিঠি দেওয়া হয়। তবে তারা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নূরুল আলম বলেন, বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি ট্রলারে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে যান। এসব ট্রলার থেকে সুন্দরবনসংলগ্ন নদ–নদী ও বনে প্লাস্টিক ফেলা হয়। ট্রলারমালিকদের চিঠি দিয়েও ট্রলার থেকে নদী ও বনে প্লাস্টিকের পাত্র ফেলা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে পর্যটকদের সুন্দরবনে ভ্রমণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।