বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
শনিবার (৬ মে) ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিতি ছিলেন। এ সম্পর্কে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যে সব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আলাপ হয়েছে, তারা তার প্রতি যথার্থ সম্মান দেখিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বডি ল্যাঙ্গুয়েজের কথা উল্লেখ করেন। হাইকমিশনার বলেন, ‘তিনি সবার কাছ থেকে অসাধারণ সম্মান পেয়েছেন।’
অভিষেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিসর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত নেতৃত্ব এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সবাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন।
তারা (বৈশ্বিক নেতারা) জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশ কীভাবে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিয়েরা লিওনের প্রধানমন্ত্রী ও তার পত্নী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সিয়েরা লিওনের প্রধানমন্ত্রী ও তার পত্নীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী) অনুসরণ করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ মে লন্ডনে পৌঁছান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারত্ব এবং জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর করেন।
সংবর্ধনার আগে তিনি কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে দ্বি-বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন।
লন্ডনের কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রাজা চার্লস তৃতীয় চার্লসের সাথে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথ নেতাদের একটি আলোচনা প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ৭৪ বছর বয়সী তৃতীয় চার্লস গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত যুক্তরাজ্যের রাজা হন।
রাজকীয় ঐতিহ্য অনুসারে জাতীয় শোক এবং বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতির পরে একজন ব্রিটিশ রাজার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম, জাপান, হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।