অসুস্থতা থেকে দূরে থাকতে এবং সুস্থ হয়ে বাঁচতে প্রোটিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেহের জন্য প্রতিদিন যে পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন হয় তা মাছ, মাংস, ডিম, ডালের মতো প্রোটিনজাতীয় খাবার থেকেই পাওয়া যায়। তবে পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে গেলে বা কম সময়ে তাড়াতাড়ি ওজন ঝরিয়ে ছিপছিপে শরীর পেতে গেলে যে পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন, তা সাধারণ খাবারের থেকে অনেক সময়েই পাওয়া যায় না।
এমন পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প হিসেবে অনেকেই কিছু খাবার খেয়ে থাকেন। এসব খাবার প্রোটিনের বাড়তি ঘাটতি মেটায়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, যে খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর হিসেবে মানুষ গ্রহণ করছে তা শরীরের জন্য উপকারি না-ও হতে পারে।
এমন কিছু খাবার রয়েছে যা প্রোটিনের ঘাটতি মেটালেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোনগুলো এমন খাবার-
মিষ্টি জড়ানো বাদাম
কাঠবাদাম, আখরোট, হেজেলনাট ইত্যাদি বাদাম প্রোটিনে ভরপুর। তবে তা খেতে হবে সাধারণ অবস্থায়। খালি বাদাম শরীরের জন্য উপকারি হলেও চিনি বা চকলেট মোড়ানো বাদাম ক্ষতিকর। তাই এমন চিনিযুক্ত বাদাম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
প্রোটিন বার
পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে বাইরে থেকে প্রোটিন খেয়ে থাকেন অনেকেই। ডায়েটে দেওয়া প্রোটিনের পরিমাণ অনুযায়ী তা জোগান দিতে গেলে কেবল খাবারের ওপর ভরসা রাখলে চলে না। এজন্য অনেকেই প্রোটিন বার খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রোটিন বারের মধ্যে কৃত্রিম চিনিসহ নানা রকম যৌগ থাকে, যা শরীরে জন্য ভালো নয়।
প্রক্রিয়াজাত চিজ
সাধারণ অবস্থায় চিজ প্রোটিনের ভালো উৎস। কিন্তু এই চিজকে প্রক্রিয়াজাত করতে গেলে, সেখানে স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় আর কিছুই থাকে না। উল্টো তা হয়ে যায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
‘ভিগান’ মাংস
আজকাল অনেকেই প্রাণীজ খাবার খাওয়া বন্ধ করে ‘ভিগান’দের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। শরীরে প্রোটিনের জোগান ঠিক রাখতে তারা কৃত্রিম প্রোটিন খেয়ে থাকেন। একেবারে মাছ, মাংসের স্বাদের মতোই খেতে অথচ উদ্ভিজ্জ এই খাবারগুলো কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী নয়।
কৃত্রিম চিনিযুক্ত টক দই
স্বাভাবিক পদ্ধতিতে তৈরি টক দই প্রোটিনে ভরপুর। কিন্তু বাজারে কৃত্রিম চিনি, গন্ধ বা রং দেওয়া যেসব টক দই পাওয়া যায়, তা আদতে শরীরের ক্ষতি করে। তাই চিনিযুক্ত টক দই একদমই খাওয়া চলবে না।