আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য এবং ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব (সিনিয়র সচিব) তপন কান্তি ঘোষ।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আমদানীকৃত খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে আমদানিনীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের অবহিতকরণ বিষয়ক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘চিনির জন্য শুল্কহার এখনো বলবৎ রয়েছে। এটা ৩১ মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে চিঠি পাঠাব। যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এ জন্য আমরা শুল্কহার আরো কমানোর জন্য সুপারিশ করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির আমদানি কমেছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দাম সমন্বয় করার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। এরপর ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দামে চিনি বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে তারা আমাদের এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।’
‘যখনই কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে না তখন আমরা এনবিআরকে শুল্কহার কমানোর জন্য অনুরোধ জানাই’ উল্লেখ করে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘তারা কখনো কমায় আবার সম্ভব না হলে কমাতে পারেন না। ট্যারিফ নির্ধারণ আসলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাজ। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা ট্যারিফের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।’
ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভোজ্য তেলের ওপর শুল্ক রেয়াত গত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করায় তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তেলের শুল্কহার অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও আমরা চিঠি দিয়েছিলাম; কিন্তু এনবিআর কন্টিনিউ করেনি। আগামী অর্থবছরে কমানো যায় কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ই-সিগারেট আমদানি প্রসঙ্গে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে মতামত জানাবে সে আলোকে আমদানীনীতি প্রণয়ন করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ই-সিগারেটের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই চূড়ান্ত।’