ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স) যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ২৫ দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিসহ ১৫০ প্রতিনিধি। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (১২ মে) দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনটি ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্ব’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে শক্তিশালী করতে রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে মূল স্টেকহোল্ডারদের আলোকিত এক সমাবেশে একত্রিত করবে।
এ সম্মেলনে অংশ নেবেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি, ভারত, ভুটান, নেপাল, বাহরাইন ও সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সিশেলস, শ্রীলঙ্কা, মাদাগাস্কারের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি।
এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারও বাংলাদেশে আসছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আজ ঢাকায় পৌঁছাবেন মার্কিন সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার।
এদিকে তাদের সফর নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে সম্মেলনের বাইরে তাদের কোনো কর্মসূচি থাকার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন নিজেই।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্মেলনের সাইড লাইনে কোনো না কোনো ফর্মে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়। পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনেতিক বাস্তবতার নিরিখে উক্ত সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, এই সম্মেলনের আলোচনা থেকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো চলমান বৈশ্বিক ঘটনার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মেরিটাইম এফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খোরশেদ আলম এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে সামসসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ১২ ও ১৩ মে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কনফারেন্সটি হবে।