চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল? কোনও কিছুই করে চুল পড়া থামাতে পারছেন না? তাহলে একবার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে দেখতে পারেন। গ্রীষ্মকালে ঘামের জন্য অতিরিক্ত মাথা ঘেমে গেলে চুল পড়ার সমস্যা অনেক সময় বেড়ে যায়। তাই আপনি যদি চুল পড়া কমাতে চান তাহলে আপনার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনুন। রোজকার খাবারে এমন সবজি, শস্যদানা রাখুন যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অনেকেই আবার বিভিন্ন ধরনের বীজ খান। এইগুলো কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। নানা উপকারিতা আছে। চুলের জন্য রাখে একাধিক বীজ। তাই চুল ভালো রাখতে এই বীজ ভেজানো জল খেতে পারেন। কিংবা স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
এবার দেখুন কোন কোন বীজ খেলে আপনি উপকার পাবেন। কোন বীজ কীভাবে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে এবং চুলের বৃদ্ধি হবে।
তিল: তিলের বীজ চুলের জন্য ভীষণই ভালো। এখানে থাকা ভিটামিন সি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে ভালো রাখে। চুল পড়া রোধ করে। তিলের তেল যদি স্ক্যাল্প ম্যাসেজ করেন তাহলে চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর হয়। চুলের বৃদ্ধি ঘটে। রোজ রাতে তিলের তেল স্ক্যাল্প এবং লম্বা অংশে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করতে পারেন উপকার পাওয়ার জন্য।
কুমড়োর বীজ: এই সবজির বীজে রয়েছে ভরপুর মিনারেল। এখানে জিঙ্ক থেকে শুরু করে ভিটামিন এ, বি, সি, কপার, সেলেনিয়ামের মতো জরুরি মিনারেল আছে। আপনার চুল যদি ভীষণ পাতলা হয়, নিষ্প্রাণ হয় তাহলে এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। এই বীজ চুলকে যেমন ঘন করে, তেমনই এটা চুলের ঔজ্জ্বল্য ফেরায়।
মেথি: অনেকেই মেথি ভেজানো জল খান। মেথি আমাদের শরীরকে যেমন ঠান্ডা রাখে তেমনই এটা চুলের জন্য জরুরি। চুলের জন্য যদি মেথি ব্যবহার করতে চান তাহলে তেলের মধ্যে এটা দিয়ে সেটা দিয়ে চুল ম্যাসাজ করতে হবে। মেথিতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, নিয়াসিন, প্রোটিন, ইত্যাদি চুল পড়া কমায়। একই সঙ্গে এটা চুল বাড়াতে সাহায্যে করে।
ফ্ল্যাক্সসিড: ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির বীজ চুলকে মজবুত করে। আর চুল মজবুত হওয়া মানেই চুল পড়া কমা। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ইত্যাদি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া এখানে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ইত্যাদি চুলের ফলিকলের যত্ন নেয়, এবং চুলকে ভালো রাখে।
সূর্যমুখীর বীজ: সূর্যমুখীর বীজে ভরে রয়েছে ভরপুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটা চুলের জন্য উপকারী। আপনি যদি চুল পড়া কমাতে চান তাহলে সূর্যমুখীর বীজ দিয়ে তেল ফুটিয়ে সেটা দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে পারেন। তবে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করার পর অবশ্যই শ্যাম্পু করে নিতে হবে।