গরমে রোদের তীব্র তাপে ট্যানকে দূরে রাখতে নানান প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে, বাজার থেকে ঘরে আনা একটি ফলই এই ট্যান সমেত গরমে মুখে পড়া নানান দাগ ছোপকে সরিয়ে দিতে পারে নিমেষে। আম খাওয়ার পাশাপাশি তা ত্বকে কীভাবে ব্যবহার করা যায় দেখে নিন।
ত্বকের জন্য আমের উপকারিতা- আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সঙ্গে ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে আম। এছাড়াও সতেজ ও উজ্জ্বল ত্বক চাইলে আম সেরা অপশন! তবে গন্ধে পাগল করা বেগমফুলি বা আলফানসোর শাস দিয়ে রূপ চর্চা করতে গেলে, পকেটের টানের কথাও মনে পড়ে যায়! সেক্ষেত্রে আম খাওয়ার পর তার খোসা দিয়েও ত্বকে জেল্লা এনে রূপে মুগ্ধ করতে পারেন সহজেই। দেখে নিন রূপ চর্চার কিছু আম-কথা!
আমের খোসা দিয়ে স্ক্রাবার- আমের খোসা ভালো করে পিষে নিয়ে তার সঙ্গে কফি পাউডার অল্প করে মিশিয়ে নিন। এরসঙ্গে চাইলে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল সামান্য মেশাতে পারেন, যদি আপনার ত্বক অয়েলি না হয়। এরপর স্ক্রাবার হিসাবে সেই মিশ্রণকে ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক ট্যান হলে কোন প্যাক বানাবেন: ট্যানিং থেকে ত্বককে রক্ষা করতেও আমের খোসা দারুন কার্যকরি। একটি গোটা আমের খোসা বেটে নিন। যে জায়গা রোদে পুড়ে ট্যান হয়েছে, সেখানে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে নিন। তারপর জল দিয়ে তা ধুয়ে নিন।
ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে: ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে একটি আমের খোসা, এক চামচ দুধ ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানান। তা মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে নিন। পরে তা ধুয়ে ফেললে নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পাবেন।
রোমকূপের সমস্যা- মুখে রোমকূপজমিত সমস্যা থেকে থাকলে আম কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে খাওয়ার পর, তার খোসা মুখে ঘড়ির কাঁটার দিক করে বোলান ভালোভাবে। এতে ত্বক শিথিল হয়, রোমকূপের ছিত্র সংকুচিত হতে থাকে। এতে ব্রণর সমস্যা থেকেও পেতে পারেন মুক্তি।
ত্বককে মসৃণ বানাতে কী করবেন: কাঁচা দুধ ২ চামচ, আমন্ড বাটা ৩ থেকে ৪ চামচ, ১ চামচ ওটস, এরসঙ্গে আমের খোসা বেটে বানিয়ে নিন ফেসপ্যাক। মুখে তা ১৫ মিনিট রেখে তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পার্থক্য নিজেই দেখে নিন! (এই প্রতিবেদনের তথ্য সাধারণ ধারণা নির্ভর। বিশদ জানতে বা ত্বক সংক্রান্ত অসুস্থতা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।