প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। আইরিশ শিবিরে শুরুতেই জোড়া উইকেট তুলে দারুণ শুরু পেয়েছিল টাইগাররা। তবে মিডল অর্ডারে হ্যারি টেক্টর ক্যারিয়ারসেরা ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তার দেখানো পথেই হাঁটেন জর্জ ডকরেল, তুলে নেন অপরাজিত ফিফটি। তাতেই স্কোরবোর্ডে বেশ শক্তপোক্ত সংগ্রহ পেয়েছে অ্যান্ড্রু বালবার্নির দল।
শুক্রবার (১২ মে) ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ ৪৫ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। এই নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট খরচায় আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩১৯ রান। ফলে টাইগারদের জয়ের জন্য ৩২০ রানের পাহাড় টপকাতে হবে।
এদিন টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা ইনিংসের শুরুতেই প্রমাণ করেন টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। আইরিশ দুই ওপেনারের উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম ওভারেই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিংকে শূন্য রানে ফেরান ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার
হাসানের ইনিংসের চতুর্থ বলেই স্টার্লিংয়ের ব্যাটে লাগা বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম বাঁ দিকে লাফিয়ে ক্যাচ নেন। তবে আম্পায়ার তাতে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফেরায় বাংলাদেশ। এরপর সপ্তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন হাসান। তার বাড়তি বাউন্সের বলে গ্যাপ খুঁজে মারতে গিয়ে স্কয়ার ড্রাইভে সরাসরি ক্যাচ গেছে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে।
ফলে স্কোরবোর্ডে রান ১৬ হতে না হতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে যায়। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে টেনে নিয়ে যান অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও হ্যারি টেক্টর। দলীয় সেঞ্চুরির পর ফিফটি তুলে নেন টেক্টর। বালবার্নিও সে মাইলফলকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ৪২ রানের মাথায় বালবার্নিকে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরীফুল ইসলাম।
এরপর লোরকার টাকার ১৬ ও কার্টিশ ক্যাম্ফার ৮ রান করে দ্রুত ফিরে গেলে আবারও কিছুটা আশা জাগায় বাংলাদেশ। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের আশা ভেঙে চুরমার করে দেন টেক্টর ও জর্জ ডকরেল। মাঝে মাত্র ৯২ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কার মারে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ২৩ বছর বয়সী টেক্টর। টেক্টরকে সঙ্গ দিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ডকরেল। এই দুই ব্যাটার ৬৮ বলে ১১৫ রানের জুটি গড়েন।
তবে দলীয় ২৮২ রানের মাথায় বিদায় নেন টেক্টর।